কে না জানতো….?
যেভাবে হামানদিস্তায় গুড়া হচ্ছিলো মন, মনন, মেধা….
উদভ্রান্ত পথিক কোথাও কি খুঁজে পাবে আলোক
অচিরেই একদিন লাবণ্যহীন হবে এই নক্ষত্রলোক!
দারুচিনি দ্বীপ থেকে কিছু কথার কথা উড়ে এলো
উড়ে এলো আরো কিছু এলোকেশী শব্দের দ্যোতনা
যে একবার ভালোবেসে মরেছিলো,
সে কেন আবার ভুখা রাজপথে মরতে গেলো?
আমি ফরাসী বিপ্লবের কথা ঘুর্ণাক্ষরেও বলছি না
রুশো, ভলটেয়ার তাঁদেরকেও কবর ফুঁড়ে তুলে আনছি না
যে বলেছিলো কীর্তিমানের মৃত্যু নেই, তার কথা বলছি!
আমি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদের কথা বলছি
আমি পানি লাগবে..পানি…পানি…সেই মুগ্ধ’র কথা বলছি!
তবুও আমি নিরাক পড়া আকাশে আলোর ঝলকানি দেখি
কপালের ভাঁজে ভাঁজে প্রেমপত্র লিখি
চোখে আঙুল দিয়ে উপলব্ধির দরজা-জানলা বন্ধ রাখি!
এরচেয়ে বেশি আর কী আছে আশা
এরচেয়ে বেশি আর কীভাবে প্রকাশ করি ভালোবাসা?
তবুও আসল কথাটি হয়নি বলা
আজও কাপুরুষ কবি রুপকের অন্তরালে তা দিয়েছি বলী
বলতে পারো, এভাবে আর কতোকাল চলবে….
এক নপুংসক কবির হাতে সত্যের জলাঞ্জলি…???