আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম (প্রধান সম্পাদক): অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা, সুপ্রভাত সিডনির ওয়েব ভার্সন, বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একটিও সংখ্যা বন্ধ না করে মুদ্রণ চালিয়ে আসছে। সুপ্রভাত সিডনির স্মার্ট টিম গত প্রায় ১৬ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মার্জিত, রুচিশীল এবং সময়োপযোগী লেখার একমাত্র দাবিদার হলো সুপ্রভাত সিডনির লেখক সমাজ। সুপ্রভাত সিডনির বিশাল পাঠক সমাজের প্রতি গভীর ভালোবাসা এই প্রকাশনার বহিঃপ্রকাশ। অনুসন্ধানী রিপোর্ট আজ পর্যন্ত সুপ্রভাত সিডনি সংবাদপত্র ছাড়া অন্য কেউ প্রকাশ করেছে কিনা, তা জানা যায়নি। যদিও অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনেক পাঠককে আকৃষ্ট করে, তবে এতে মানহানি মামলার সম্ভাবনা থাকে। তাই অতীতে সংবাদপত্রগুলোর অধিকাংশই দেশের খবর, গল্প, রচনা ইত্যাদি দিয়েই পত্রিকা পূর্ণ করতেন, যা ছিল সহজ ও নিরামিষ। সুপ্রভাত সিডনি গল্প, রচনা ইত্যাদি প্রকাশ করলেও, স্থানীয় রিপোর্টে বিশাল সময় ব্যয় করে। অনুসন্ধানী রিপোর্ট লেখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া আইন-কানুন মেনে চলা প্রয়োজন, যা বেশিরভাগ মানুষ জানেন না।
সুপ্রভাত সিডনি একমাত্র পত্রিকা যা কখনো কপি-পেস্টের ব্যবহার করে না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা প্রকাশ করে সুপ্রভাত সিডনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছে। এছাড়াও, সুপ্রভাত সিডনি একটি অনলাইন টিভি, ইউটিউব চ্যানেল, এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারসহ সকল সামাজিক মিডিয়াতে অত্যন্ত সক্রিয়।
সুপ্রভাত সিডনি প্রবাসে কোনো পক্ষপাতিত্ব না করে এবং কারো রক্তচক্ষুকে গুরুত্ব না দিয়ে, তেমনি হাসিনা সরকারের প্রায় প্রতিটি বিষয়ে নিরলসভাবে কঠোর সমালোচনা করেছে।
সুপ্রভাত সিডনি একটি উজ্জ্বল প্রতিষ্ঠান, যা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত ১৬ বছর ধরে, সুপ্রভাত সিডনি সিডনিতে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করে আসছে। এটি সবস্তরের এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের সমস্যা সমাধানে সদা প্রস্তুত থাকে। সমাজে সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক অথবা অন্যান্য সমস্যায় পতিত হলে, নানা শ্রেণীর মানুষ সুপ্রভাত সিডনির দ্বারস্থ হয়।
প্রথমে, সুপ্রভাত সিডনির নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হয় এবং সিরিয়াল অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অবশেষে, ব্যক্তির সমস্যার সমাধান সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। আইনগত সমস্যার ক্ষেত্রে, সিডনির প্রথম সারির অস্ট্রেলিয়ান উকিলের সহযোগিতা নিশ্চিত করা হয়। কর্মক্ষেত্রে সমস্যা বা দুর্ঘটনা, মালিক পক্ষের বেতন না দেওয়া অথবা অর্থ আত্মসাতের মতো সমস্যা হলে, সুপ্রভাত সিডনি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করে এবং অর্থ ফিরিয়ে দেয়।
এই সেবাসমূহের বিস্তারিত বিজ্ঞাপন আমাদের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় পাওয়া যাবে। সুপ্রভাত সিডনি বাংলাদেশি কমিউনিটির গণ্ডি ছাড়িয়ে নেটিভ অস্ট্রেলিয়ান, পাকিস্তানি, আরব, ইন্দোনেশিয়ান, মালয়েশীয়, ভারতীয়, তুর্কি, কোরিয়ানসহ প্রায় ৭০টি কমিউনিটিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।
অস্ট্রেলিয়াতে সুপ্রভাত সিডনি একমাত্র বাংলাদেশী মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, যা অনলাইনে ৭০টি বিভিন্ন ভাষাভাষী এবং বিভিন্ন দেশের মিডিয়াকে “প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনিং” প্রদান করে এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একান্ত সহযোগিতায়, এই মিডিয়া ট্রেইনিং কর্মশালায় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় UTS-এর মিডিয়া কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মিডিয়া স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার নিয়োগ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, মিডিয়া সংক্রান্ত আইনগত ঝামেলা এড়াতে সিডনির বিখ্যাত মানহানি আইন বিশেষজ্ঞও নিয়োগ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য এ ধরনের বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুধুমাত্র সুপ্রভাত সিডনিই সফলভাবে পরিচালনা করেছে। এটি শুধু অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের নয়, বরং প্রবাসী মিডিয়ার ইতিহাসে একটি অনন্য উদাহরণ।
বাংলাদেশীদের গন্ডি পেরিয়ে মূল অস্ট্রেলিয়ান কম্যুনিটিতেও বিশাল জায়গা করে নিয়েছে,যা সবার জানা আছে। সুপ্রভাত সিডনির ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি দেখলেই বুঝতে পারবেন :
কম্যুনিটির সব ধরণের সমস্যায় সুপ্রভাত সিডনি সব সময় অগ্রগামী -এ আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য। তাছাড়া সুপ্রভাত সিডনি কমিউনিটিতে বিভিন্ন মিডিয়েশন করে ইতিমধ্যে সকলের কাছে অতি প্রশংসিত হয়েছে।
বিতাড়িত হাসিনা সরকার হঠাৎ করে এধরনের একটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার “নিবন্ধন নেই—প্রচার করা যাবে না” বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এটি যেমন হাস্যকর, ঠিক তেমনি বাক স্বাধীনতার চরম পরিপন্থী। সুপ্রভাত সিডনি পরিবার এই ধরনের একতরফা, ভুয়া, এবং মিথ্যা অজুহাতের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার পাঠক ও লেখক সমাজ ২৮ জুলাই ২০২৪ সিডনির ল্যাকেম্বায় এক বিশেষ সভার আয়োজন করে। সভায় উপস্থিত লেখক ও পাঠক সমাজ স্বৈরাচারী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী, বাক স্বাধীনতা হরণকারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে, প্রবাসী ১৭৮টি মিডিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একমাত্র বাংলা পত্রিকা সুপ্রভাত সিডনি বিগত প্রায় ১৬ বছর নিরলস প্রচার করে যাচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রতিটি কাজ। সরকারের তীব্র সমালোচনা ও ইউটিউবে সুপ্রভাত সিডনি চ্যানেলে আওয়ামী কুলাঙ্গারদের কুকর্ম তুলে ধরার কারনে সুপ্রভাত সিডনির নামে “ডিজিট্যাল সিকিউরিটি এক্টের” আওত্তায় সরকার মামলা দায়ের করেন। সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদকের নামে এ মামলা করা হয়। যার কারনে এক যুগেরও বেশি সময় পরিবার -পরিজন বিভিন্নভাবে প্রশাসন হেনস্থা করেছে। প্রধান সম্পাদক ও পরিবার বিগত একযুগেরও বেশি সময় নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশে যেতে পারেনি। দেখা হয়নি মাতৃভূমিতে থাকা বন্ধু -বান্ধব, আত্মীয় -স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদেরকে।
স্বৈরশাসনের আমলে মুজিবীয় কায়দায় সাংবাদিকদের টুটি আবারো চেপে ধরেছে ,যা অত্যান্ত ঘৃন্য। সুপ্রভাত সিডনি এ ধরণের ভুয়া,মিথ্যা ও বানোয়াট অজুহাতে ১৭৮ নিউজ পোর্টাল বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। খুনি হাসিনার পলায়নের পর আমাদের মিডিয়া সম্প্রচারে আর কোনো বাধা থাকার কথা নয়। এ মুহূর্তে প্রবাসের প্রতিটি বাংলা গণমাধ্যমের উপর সকল মিথ্যা, ভুয়া , বানোয়াট অধ্যাদেশ তুলে নেবার জোর দাবী জানাচ্ছি। পাশাপাশি আওয়ামীলীগ সরকারের মদদপুষ্ট সকল হলুদ সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বাতিল করার অনুরোধ করছি। বিগত ১৬ বছর যারা মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছে,জনগণকে বিব্ভ্রান্ত করেছে, সকল দেশদ্রোহী হলুদ সংবাদিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। প্রবাসে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট সকল মিডিয়ার উপর থেকে মামলা তুলে নেবার জোর আবেদন জানাচ্ছি। সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনকে এ মুহূর্তে আইনের আওত্তায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা সময়ের দাবি।