সুপ্রভাত সিডনি রিপোর্ট: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়া উদোগে ৫ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সিডনির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের (কিরিবিলি হাউস) সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন, বার বার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতা মো. মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ।
এ,এন,এম মাসুমের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্যে রাখেন সুপ্রভাত সিডনি মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এম এ ইউসুফ শামীম, বিএনপি নেতা জাকির আলম লেলিন, খাইরুল কবির পিন্টু, মোহাম্মদ নাসির আহম্মেদ, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, এস এম খালেদ, মৌহাইমেন খান মিশু, মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু, আব্দুল করিম, নূর মোহাম্মদ, আনোয়ারুজ্জামান, আব্দুল মজিদ, শেখ মোহাম্মদ ফরিদ, রাশেদুল ইসলাম, ফতুন নিতু, আমিনুল ইসলাম, সুধন যোসেফ ক্রুশ, অসীত গোমেজ, লিন্টাস পেরেরা, মোহাম্মদ বদরুল আলম, আজাদ, মোহাম্মদ হাবিব রহমান,মোহাম্মদ বাচ্চু, আলা উদ্দিন, ইয়াসিন মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, আশিক মিয়া, বেলাল হোসেন, খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ বাসেত, সাহনূর রহমান প্রমুখ।
সমাবেশে সিডনির বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যানার, ফেস্টুনসহ কমিউনিটির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।
বিএনপি নেতা মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার নেই, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন ও সরকারি বাহিনী ১৪ বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার কাজ করছে যেখানে দিনের ভোট রাতে হয়ে যায় এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে প্রাচার করছে।আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেবার সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
এম এ ইউসুফ শামীম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন তিন বারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া ২০০৭ সাল থেকে সম্ভব্য সব উপায়ে মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই হয়রানি তাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার রূপ নিয়েছে। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সত্ত্বেও, তাকে কারাবাসের সময় বর্ধিত সময়ের জন্য চিকিত্সা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাকে হয়রানি করার জন্য ফৌজদারি মামলা করেছে এবং জামিনযোগ্য মামলায়ও বিচার বিভাগ তার জামিন এবং মুক্তি দিতে বিলম্ব করেছে।
সমাবেশ শেষে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি পেশ করা হয়।